সালাত আদায়ের গুরুত্ব

ভূমিকা:

সালাত আদায়ের গুরুত্বlআপনাদের  মাঝে আজ আলোচনা করব ইসলামে সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কেl আশা করিআপনারা এখান থেকে কিছু উপকৃত কথা জানতে পারবেনl সালাতের মাধ্যমে একজন মানুষআল্লাহর সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতির বার বার প্রতিফলন ঘটায়। সে  স্রষ্টাকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, সেতার প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছে।  সালাতের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য  লাভ করে।আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ়  হয়।

ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ  হয়।সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও ফিরিয়ে আনে। গড়েউঠে সামাজিক ঐক্য। সালাতের মাধ্যমে ছগীরা  গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণ লাভ করে এবংদুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ হয়।

আরো দেখুন

সালাত আদায়ের গুরুত্ব:

সালাত আদায়ের গুরুত্বlএখান থেকে কিছু উপকৃত কথা জানতে পারবেনl সালাতের মাধ্যমেএকজন মানুষ আল্লাহর সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতির বার বার প্রতিফলন ঘটায়। সে  স্রষ্টাকে বুঝাতেসক্ষম হয় যে, সে তার প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছে।  সালাতের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য  লাভ করে।

আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ়  হয়। ইহকাল ও পরকালেরমুক্তির পথ  হয়। সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ওফিরিয়ে আনে। গড়ে উঠে সামাজিক ঐক্য। সালাতের মাধ্যমে ছগীরা  গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণলাভ করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ হয়।

সালাত আদায়ের গুরুত্ব

আরো দেখুন

আল্লাহর নৈকট্য  লাভ করা:

সালাত আদায়ের গুরুত্ব lসালাতের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতির বারবার প্রতিফলন ঘটায়। সে  স্রষ্টাকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, সে তার প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছে।সালাতের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য  লাভ করে।

আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্কের বন্ধনসুদৃঢ়  হয়। ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ  হয়। সালাত ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়জীবনে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও ফিরিয়ে আনে। গড়ে উঠে সামাজিক ঐক্য। সালাতের মাধ্যমেছগীরা  গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণ লাভ করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ হয়।

সালাত আদায়ের গুরুত্ব

আরো দেখুন

সালাতের বৈশিষ্ট্য :

সাসালাত আদায়ের গুরুত্ব l সারা বছর দৈনিক পাঁচ বার আদায় করতে হয়। মৃত্যু ছাড়া আরকোন অবস্থাতেই সালাত মাফ হয় না এমনকি মৃত্যুশয্যাতেও সালাত হতে বিরত থাকার কোনবিধান নেই। আল্লাহ তাআলা প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেন। তারপর আল্লাহমানুষের প্রতি দয়া করে তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্তে নিয়ে আসেন। তবে সওয়াব ও বিনিময় পঞ্চাশওয়াক্তেরই জারী রাখেন। 

যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তাকেপঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের সওয়াব প্রদান করবে। তাই আমরা যদি সঠিক সময়ে সালাতআদায় করতে পারি ,তাহলে আমাদেরকে আল্লাহতালা অনেক সওয়াব দান করবেনlসালাত একমাত্র এবাদত যা আল্লাহ তাআলা সাত আসমানের উপরেই ফরজ করাকে শ্রেয় মনে করেছেন। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনমেরাজে গমন করেন তখন আল্লাহতাআলা সরাসরি-কোন প্রকার মাধ্যম ছাড়াই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে সালাতেরদায়িত্ব দেন। এতে সালাতের মহত্ত্ব, মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটে। রব ও স্রষ্টার সাথে সম্পর্কআলোচনা করা হল।সালাত আদায়ের গুরুত্বl

জামাতে সালাত পড়ার ফজিল:

জামাতে সালাত আদায় কারীদের জন্য মহান আল্লাহ যে সব ফজিলতের ঘোষণা দিয়েছেন, তাজানা অত্যন্ত জরুরি। জামাতে সালাত আদায়ের অনেক ফজিলত ও লাভ রয়েছে, কিন্তু এসবলাভ শুধু জামাতে সালাত পড়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং কোন ব্যক্তি যদি জামাতে সালাতআদায়ের প্রতিজ্ঞা করে,

জামাতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আগমন করে, জামাতেরউদ্দেশ্যে মসজিদে অপেক্ষা করতে থাকে, এমনকি সালাত আদায়কারী জামাতে নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত সে ছাওয়াব পেতে থাকবে। জামাতে সালাত আদায় করা অনেক সওয়াবরয়েছে  l তাই আমাদের কর্তব্য আমরা যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেপারি সেই ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবেl

এই ব্যাপারে সালাত আদায়ের গুরুত্বlআল্লাহ বলেন: “এবং তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্যই তা কঠিনকিন্তু বিনীতগণের জন্যে নয়। যারা ধারণা করে যে নিশ্চয় তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে এবং তারা তারই দিকে প্রতিগমন করবে।” [সুরা বাকারাহ : ৪৫,৪৬]আল্লাহ নিজেই তার বান্দাদের জন্য এর পথ খুলে দেন-দৈনিক পাঁচ বার নির্দিষ্ট সময়ে বান্দা সেপথ  খুলবে এবং এ ছাড়াও যখন ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। যেমন  বকর আল মুযানীরহ.বলেন: হে বনী আদম-আদম সন্তান ! তোমার মত আর কে হতে পারে ?

তোমার মাঝে আরমিহরাবের ও পানির মাঝে কোন বাধা অবশিষ্ট রইল না। যখনই তুমি চাও আল্লাহর দরবারে প্রবেশকরতে পার তোমার ও প্রভুর মাঝে কোন মধ্যস্থতা কারী নেই।সালাত আদায়ের গুরুত্বl

সালাত আদায় করা:

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর নিকট কোন আমলসবচেয়ে বেশি প্রিয় ? তিনি বলেন-সময় মত সালাত আদায় করা, আবার জিজ্ঞাসা করা হল তারপর কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন-মাতা পিতার সাথে সদাচরন করা। আবার জিজ্ঞাসা করা হলতার পর কোনটি? উত্তরে বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” [বোখারি:৪৯৬]তিনি বলেন: “যদি তোমাদের কারো বাড়ির দরজায় একটি পুকুর থাকে আর তাতে দৈনিকপাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোন ময়লা আবর্জনা অবশিষ্ট থাকে ? সাহাবিরা উত্তরেবললেন, না।

রাসূল সা. বলেন-অনুরূপ ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ; আল্লাহ তাআলা দৈনিকপাঁচবার সালাত আদায় করা দ্বারা গুণাহ-পাপাচারগুলো ধুয়ে মুছে ফেলেন।” [মুসলিম:৪৯৭]।রাসুল (সা.) বলেন যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে না, ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সালাত ত্যাগ করে, সে জাহান্নামি।’ রাসুল (সা.) বলেন, ইমান ও কুফরের মধ্যবর্তীদেয়াল হলো সালাত।মিরাজের সময় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে।

সালাত মুসলিম জীবনের অপরিহার্য একটিবিষয়, যা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, বৈষয়িক, ইহলৌকিক, পারলৌকিক, জীবনের সঙ্গে যুক্ত এবং স্বীয় সত্তা ও সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধবিশেষ। হায়াতের প্রতিটি পরতে-পর্যায়ে ও স্তরে সালাতের সঙ্গে সময় সম্পৃক্ত।আল্লাহতাআলা বলেন, নিঃসন্দেহে সালাত বিশ্বাসীর ওপর সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আবশ্যকীয়করা হয়েছে। (সূরা নিসা,আয়াত-১০৩)।

শেষ কথা:

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে,সালাত আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরাজানতে পারলামl এখান থেকে আমরা অনেক উপকৃত কথা শুনতে পারলাম বা জানতে পারলাম এগুলো জানা আমাদের অবশ্যই কর্তব্য রয়েছেl

আমরা যদি এ ব্যাপারে ভালো কিছু করি তাহলেআমাদের জন্য অনেক সওয়াব রয়েছেl তাই আমাদের কর্তব্য আমরা যেন সঠিক নিয়মে সালাত আদায় করতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবেl সবাই ভালো থাকুনl

The importance of offering prayers: When you want to enter the court of Allah, there is no barrier between you and your Lord. The importance of offering prayers.