মোবাইল কি

ভূমিকা:

মোবাইল কি এ বিষয়ে আমরা যদি জানতে চাই, এবং এটা কি এ সম্পর্কে আপনাকে আমি বলি মোবাইল হল এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাl

আমরা মোবাইল দিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশের কথা বলতে পারি এটা আমাদের জন্য সুবিধা জনকl

তাই আমরা বলতে পারি আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে পারিl এটা আমাদের জন্য ভালো ব্যবস্থা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুধু যোগাযোগব্যবস্থা নয়,

আমরা এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারি তাই আমরা এটাকে বলতে পারি এটা একটা ইনকামের হাতিয়ারl

এই ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা ব্যবহার করে থাকি ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের এখন সবকিছু ডিজিটাল হয়ে উঠেছেl

এ সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব । নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো তাহলে শোনা যাকl

 মোবাইল কি:

মোবাইল  হল এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা এর মাধ্যমে আমরা কথা বলতে পারি এক দেশ থেকে আরেক দেশে খোঁজখবর রাখতে পারি এবং বিভিন্ন কাজে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে অনেক মানুষl

এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনেক মানুষ অনলাইনে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারতেছে এজন্য এই মোবাইল ফোন আমাদেরকে উপকার হিসেবে কাজ করতেছেl

যদি আমরা বলি মোবাইল ফোন আমাদেরকে উপকার করতেছে কিভাবে উপকার করতেছে এ সম্পর্কে আমি বলি মোবাইল ফোনে আমাদেরকে অনেক রকম সাহায্য করতেছেl

আমাদেরকে এই মোবাইল ফোন টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারিl

তাই আমরা বলতে পারি এই মোবাইলটা আমাদেরকে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে দিয়েছে আমরা যদি বিদেশ থাকি তাহলে আমরা বিদেশ থেকে আমাদের নিজ দেশে মানুষদের সাথে কথা বলতে পারি  যোগাযোগ করতে পারিনি এটা আমাদের জন্য সুবিধা

মোবাইল ফোন এর অর্থ কি?:

মোবাইল ফোনের  অর্থ ভ্রাম্যমানl আমরা জানি মোবাইল ফোনের অর্থ বলতে বুঝি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যে কথাবার্তা বলে থাকি সেটার নামই হলো মোবাইল ফোন l

এর মাধ্যমে আমরা নানান ভাবে যোগাযোগ করতে পারি এটি আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেl তাই বলতে পারি ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদেরকে উন্নত পর্যায়ে এটি আমাদেরকে নিয়ে গেছেl

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা নানান ধরনের কাজও করে থাকিl যেমন আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে থাকিl তা থেকে আমরা উপার্জন করে থাকিl

তাই বলা যায় এটা হল আমাদের টাকা ইনকাম করার হাতিয়ারl

এটা আমরা ব্যবহার করে একদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলি আরেকদিকে আমরা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন সাইট খুলে সেখান থেকে আমরা টাকা ইনকাম করে থাকিl

মোবাইল ফোন প্রযুক্তি কত প্রকার?:

 

বর্তমান প্রচলিতমোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়।

যথা- ১) জিএসএম (GSM) ও ২) সিডিএমএ (CDMA)। GSMএর পূর্ণরূপ (Global System for Mobile Communication) গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন।

এই প্রযুক্তিতে একটি সিম যেকোন মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যায়।

মোবাইল কি

মোবাইল কি

 

মোবাইল ফোন কি ধরনের ডিভাইস?

মোবাইল ফোন একাধারে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস বলা যেতে পারে। বর্তমানে আপনি যে মোবাইল ফোনগুলো ব্যাবহার করেন তা একটি মিনিয়েচার কম্পিউটার ছাড়া কিছুই নয়।

যেমন কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কিবোর্ড এবং মাউস ফোনে মাউস নেই কিন্তু কিবোর্ড আছে তার মানে ফোনকে ইনপুট ডিভাইস বলা যেতে পারে।

 

মোবাইল ফোনের জনক কে?

 

মার্টিন “মার্টি” কুপার (ইংরেজি: Martin “Marty” Cooper; জন্ম: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯২৮) ইলিনয়িস রাজ্যের শিকাগোতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত মার্কিন আবিষ্কারক।

তারবিহীন টেলিফোন শিল্প হিসেবে মোবাইল ফোনের পথিকৃৎ হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত হয়ে আছেন। এ শিল্পে তার সর্বমোট এগারোটি মেধাস্বত্ব রয়েছে।

মোবাইল কি

মোবাইল কি

মোবাইল ফোন রচনা:

বিজ্ঞানের নানা উদ্ভাবনের মধ্যে আধুনিক একটি উদ্ভাবন হলাে মােবাইল ফোন বা মুঠো ফোন। দূরে অবস্থানরত প্রিয়জন, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সহজেই যােগাযােগ করার মাধ্যম হলাে মােবাইল ফোন।

যােগাযােগ সহজ ও দ্রুত করার দাবিদার মােবাইল ফোন যােগাযােগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নবযুগের সূচনা করেছে। মানুষ তার অনুভূতি, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পারছে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে।

মােবাইল প্রযুক্তিঃআগে দূরে কারাে সাথে যােগাযােগ করতে হলে ল্যান্ড ফোন বা ফ্যাক্স-এর সাহায্য নিতে হতাে। ল্যান্ডফোন বা ফ্যাক্স -এর নানাবিধ জটিলতা নিরসনের জন্য এবং বহনযােগ্য টেলিযােগাযোেগ ব্যবস্থার প্রয়ােজনীয়তা থেকেই মােবাইল ফোনপ্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে। মােবাইল ফোন সিম বা রিম কার্ড ব্যবহৃত বা বহনযােগ্য টেলিফোন প্রযুক্তি। পৃথিবীতে চার প্রযুক্তির মােবাইল সেটের মধ্যে বাংলাদেশে ‘সিডিএমএ’ ও ‘জিএসএম’ নামের দুটি প্রযুক্তির মােবাইল ফোন প্রচলিত আছে।

বাংলাদেশে মােবাইল ফোনঃবাংলাদেশে একবিংশ শতক থেকে মােবাইলের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয় এবং মােবাইলব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মােট ছয়টি মােবাইল কোম্পানি গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, সিটিসেল ও এয়ারটেল নামক ৬টি মােবাইল ফোন নেটওয়ার্ক রয়েছে।

আরও দেখুনhttps://amarblogbd.com/category/health-info/

 

যােগাযােগের ক্ষেৃত্রে মােবাইল ফোনঃ


মােবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনাে জায়গায় অবস্থানরত মানুষের খোঁজখবর
নেওয়া যায়।

আগে বিদেশি অবস্থানকারী আত্মীয়স্বজন-বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলা ও তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া ছিল সময়, কষ্ট ও
ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। মােবাইল ফোনের সাহায্যে এখন দ্রুত ও কম খরচে তাদের খবর নেওয়া যাচ্ছে।

মােবাইলের এসএমএস ব্যবস্থার কারণে দ্রুত কার্ডকে কোনাে টেক্সট করা যায়।

শুধু যে কথা বলা ও এসএমএস করা যায় তাই নয়, মােবাইলের সাহায্য ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং সামাজিক যােগাযােগ ব্যবস্থা ফেসবুক, টুইটার এবং সম্প্রীতি চালু হওয়া স্কাইপি-এর জন্য মানুষ সবার সাথে সহজেই যােগাযােগ স্থাপন করতে পারছে। মােবাইল ফোনে খবর, বিনােদন ও খেলার আপডেট জানা যাচ্ছে।

বর্তমানে বিভিন্ন
মােবাইল কোম্পানির গ্রাহক সেবার মধ্যে রয়েছে- নামাজ, সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি, স্বাস্থ্য পরামর্শ, কৃষি সমস্যার সমাধান। মােঝইলে ছবি তােলা, অডিও ও ভিডিও ব্যবস্থার কারণে এটি বিনােদনের মাধ্যমও পরিণত হয়েছে।

মােবাইল ফোনের অন্যান্য সুবিধাঃ

মােবাইল ফোনের অত্যাধুনিক সব সংযােজনের ফলে এখন মােবাইলে গণনার কাজ করা
যাচ্ছে।

মােবাইল সময় ও তারিখ নির্দেশকের কাজ। বর্তমানে বাজারে কম্পিউটারের সাহায্যে যেসব করা হয় সেই সব সুবিধাসম্পন্নl

মােবাইল সেট এসেছে। যেগুলােতে যােগাযােগ ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযােগ রয়েছে। বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কাটা যাচ্ছে মােবাইল ফোনে ।

বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ইত্যাদিও পরিশােধ করা যাচ্ছে মােবাইলের সাহায্যে।

মােবাইল ব্যাংকিংঃ

ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে মানুষের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে মােবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি।

সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পাঠানাে যাচ্ছে মােবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।

টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানাের জন্য বাংলাদেশে ডাচ-বাংলা মােবাইল ব্যাংকিং, বিকাশ ইত্যাদি ব্যবস্থা চালু আছে।

বাংলাদেশ পােস্ট অফিসে মােবাইলে টাকা
পাঠাননার চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও দেখুন

 

অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেঃ

 

অপরাধী কোন জায়গা থেকে ফোনে কথা বলেছে এবং অপরাধীর গলার স্বর যথাযথ প্রযুক্তির সাহায্যে
বিশ্লেষণ ও নিরূপণ করে অপরাধী ধরা যায়। তাই অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে মােবাইল ফোনের গুরুত্ব রয়েছে।

মােবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকঃ

মােবাইল নেটওয়ার্কে সুবিধা ব্যবহার করে অপরাধী সবসময় সবার সাথে যােগাযােগ রাখে এবং আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অপরাধমূলক কাণ্ড করে থাকে।

মােবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথা বলার কারণে মােবাইলের
রেডিরেশনের জন্য মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ব্রেন টিউমারের মতাে কঠিন রােগের স্বীকার হয় মানুষ।

মােবাইল
ফোনের বহু ধরনের সেবার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখায় অমনযােগী হয়ে পড়ে।

মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে?

ফোন ছাড়া আমাদের চলেই না। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাত্রা এত সহজ করে দিয়েছে যে আমরা আজ যে কোন জায়গায় বসে দূর দূরান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি এই মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে?

কি উপায়ে এটি দ্বারা যেকোন স্থানে যোগাযোগ করা যায়। আজ আমরা জানব কিভাবে মোবাইল ফোন কাজ করে। মোবাইল ফোন কাজ করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে।

আমরা যখন যাই করি না কেন যেমন যখন ঘরে বসে থাকি, বাইরে হাঁটি, বাসে  ট্রেনে ভ্রমণ করি সব সময়ই আমরা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিও ওয়েভের সমুদ্রে বিচরণ করি।

এবং চুম্বকের একটি অদৃশ্য তরঙ্গ এটি যার গতি আলোর গতির ন্যায় ৩০০০০০ কিলোমিটার পার সেকেন্ড।

ফোনের গতি এখন বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন। যাইহোকl

আরও দেখুন

উপসংহারঃ

 

মােবাইল ফোন মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে নানা সুযােগ-সুবিধা। মানুষ দূরদূরান্তের সবার সাথে যােগাযােগ রাখতে পারছে ।

মােবাইল ফোনের নেতিবাচক দিক পরিহার করে ইতিবাচক দিক গ্রহণ করলেই বিজ্ঞানেরতথ্য যােগাযােগের ক্ষেত্রে উপহার মােবাইল ফোন হয়ে উঠবে মানুষের সহায়ক ।

আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে এই কামনাই সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুনl

2 Comments

Add a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *