ভূমিকা:
কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা টাকা ইনকাম করতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদেরকে আমি এখন বলবো, যে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাদের মধ্যেও যে সকল ভাইয়েরা অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চাই সেই সকল ভাইদেরকে আমি বলতে চাই আপনারা যদি চান অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেl
ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ইনকাম করার উপায় রয়েছে।বর্তমানে ইন্টারনেটে ঘুরে একটু ঘাটাঘাটি করেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। এ সম্পর্কে এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবl
কিভাবে একটি ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়:
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ইনকাম করার উপায় রয়েছে। আধুনিক ও স্মার্ট ক্যারিয়ার বা ডিজিটাল ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইন্টারনেটে ঘুরে একটু ঘাটাঘাটি করেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়।
বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলোতে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয় না।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা একটি বাস্তব ব্যাপার। ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম (online income) করছেন।
যদি কঠোর পরিশ্রম করার এবং নিজের (website) ওয়েবসাইটে সময় দেওয়ার মনমানষিকতা থাকে তবে আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে website থেকে part-time বা full-time income করতে পারবেন।
ইনকাম করার জন্য আগে আপনার কিছু কিছু বিষয়ের উপর জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন,
আরো কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো একজন website owner হিসেবে আপনার অবশ্যই জানা জরুরী।
যেমন,
- ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
- ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে?
ওয়েবসাইট তৈরি করা কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
আর একটি কথা অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি আগে একটি প্রশ্ন করে থাকেন যে,
“কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করা যায়?”
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সেই বিষয়টি বিস্তারিত জানাবো। তাই প্রশ্নটির উত্তর জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
এক নজরে দেখুন
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয়;
ওয়েবসাইট থেকে আয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ভালো মাধ্যম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সাইট।
ওয়েবসাইট বা ব্লগিং এ পছন্দের বিষয়ে লেখালেখি করে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা যায় এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে গুগল বাংলা সাপোর্ট করে। অর্থাৎ গুগলে বাংলা লিখেও ইনকাম করা খুব সহজেই সম্ভব।
আপনার যদি বাংলা ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বাংলা লেখালেখি করেও গুগুল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ লিখে সফল হতে হলে আপনাকে ওয়েবসাইট ও এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
কিভাবে একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?;
আজ আমি আপনাদের এমন কয়েকটি উপায় বলবো, যেগুলো ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম অনেকটাই সহজ হবে আপনার জন্য।
মনে রাখবেন, Website থেকে টাকা আয়ের প্রতিটি উপায় গুলো কাজ করতে কিছু সময় লাগতে পারে । তাই, ধৈর্য্য ধরে এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করার মানষিকতা থাকতে হবে। সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আপনি এই উপায়গুলোর দ্বারা প্রচুর ইনকাম অবশ্যই করতে পারবেন ।
একটি ওয়েবসাইট দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়:
আপনার নিজের একটি website তৈরি করার পর যখন আপনার ওয়েবসাৈইটে ভালো পরিমানে ট্রাফিক ও ভিজিটর্স আসা শুরু করবে, তখন নিচের দেওয়া উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
চলুন, বন্ধুরা নিচে প্রত্যেকটি উপায় ও পদ্ধতিগুলো জেনে নেয়া যাক।
১. অনলাইনে Affiliate marketing করে ইনকাম:
আপনি যখন একটি ওয়েব সাইট তৈরি করবেন, এবং যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর বা ট্রাফিক আসতে থাকবে। তখন আপনি Affiliate marketing করে নিজের ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে আপনি ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন digital products company বা e-commerce ওয়েবসাইট গুলোর সাথে মিলিত হয়ে তাদের পন্য ও সেবা নিজের ওয়েবসাইটে প্রচার করে বা মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আর যখন আপনি কোনো কোম্পানির products বা services প্রচার করতে ইচ্ছুক হবেন তখন তারা আপনাকে বিশেষ link দিয়ে দিবে যাকে বলা হয় “affiliate links.”
এবং যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোনো visitor আপনার প্রচার করা affiliate link গুলোর মাধ্যমে কোনো products বা service কেনা-কাটা করবে তখন আপনার এ্যাকাউন্টে কিছু কমিশন জমা হবে।
মূলত এভাবেই আপনি নিজের ওয়েবসাইটে অনেক অনেক products এবং services গুলোকে প্রচার বা প্রসার করে “affiliate links“ থেকে কমিশনের মাধ্যমে করতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেস কি ? ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
- কিভাবে লোগো তৈরি করব ? লোগো তৈরি করার নিয়ম
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিগুলোর মধ্যে “affiliate marketing” সব থেকে সেরা পদ্ধতি।
তবে, এই মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকামের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে । অনলাইনে যে কোনো paid বা premium service গুলোর অবশ্যই affiliate program রয়েছে।
তাই আপনি বিভিন্ন digital products যেমন,
- Domain
- Web Hosting
- e-book
- WordPress themes
- e-Commerce products
নানান রকমের products এর affiliate links নিজের ওয়েবসাইটে প্রচার করে ইনকাম করতে পারবেন। Affiliate marketing এর মাধ্যমে ইনকাম করতে নিচে দেওয়া affiliate programs গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Commission Junction
- ShareASale
- Amazon Associates
- Click Bank
২. ওয়েবসাইটে Google এডসেন্স দ্বারা ইনকাম:
ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে “Google AdSense” সব চেয়ে সহজ এবং লাভজনক একটি উপায়।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে কিছু কিছু করে ট্রাফিক আসা শুরু হবে, তখন Google Ad Sense এর জন্য আপনি register করে apply করতে পারেন।
এবং যখন আপনার ওয়েবসাইট টি Google Ad Sense দ্বারা approve হয়ে যাবে। তখন আপনি Google Ad Sense এর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে দেখাতে পারবেন।
এতে করে যখন কোনো ভিজিটর আপনার দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে তখন আপনি সেই প্রতিটি বিজ্ঞাপন ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পাবেন।
গুগল এডসেন্সের দ্বারা দেখানো বিজ্ঞাপন যত বেশি ক্লিক হবে আপনার আয়ও ততো বেশি হবে। সাধারণত Google Ad Sense যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য টাকা আয় করার সবচেয়ে প্রধান এবং প্রিয় মাধ্যম।
Google Ad Sense এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে একটি ওয়েবসাইট থেকে মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যা ইতোমধ্যে অনেকেই আয় করছেন এবং করতেছেন।
তবে, এডসেন্স থেকে মাসে কত টাকা আয় হবে তা ওয়েবসাইট এবং ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, প্রতিটি ad-click এর বিপরিতে আপনাকে কত টাকা দিচ্ছে (CPC), আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কোন কোন দেশ থেকে আসছে ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে।
৩. Ad space sell করে ইনকাম:
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞা*পন দেখিয়ে ইনকাম করা অনেক সহজ এবং লাভজনক উপায়। তবে অনেক সময় গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেতে অনেক ঝামেলা হয়ে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় Google AdSense approval পাওয়ার জন্য বছর এর পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।
এই জন্য Google Ad Sense ছাড়াও আপনি directly আপনার ওয়েবসাইটের কিছু অংশতে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞা*পন দেখাতে পারেন । অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু অংশ কোন কোম্পানির কাছে ভাড়া দিতে পারেন।
কোম্পানিগুলো আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভাড়া নিয়ে নির্দিষ্ট অংশে তারা তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখাবে। এই বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হয় “sponsored ads.”
এই ধরনের sponsored ad s আপনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে ভালো পরিমাণের টাকা দিতে পারেন। আপনার সাইটে যত বেশি ভিজিটর্স থাকবে আপনি কোম্পানির কাছ থেকে ততটা বেশি টাকার চাহিদা রাখতে পারবেন।
আপনি চাইলে, “buysellads.com” ওয়েবসাইটের গিয়ে আপনার ওয়েবসাইট ভাড়া দেওয়ার কথা অন্যদেরকে জানাতে পারেন।
৪. Direct sponsored আর্টিকেল পাবলিশ করে ইনকাম:
এমনও অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে কোনরকম বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না । এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বিজ্ঞাপন ছাড়া এই ওয়েবসাইট গুলো ইনকাম আসে কিভাবে?
এর উত্তর হলো, direct sponsored articles বা posts publish করে এরা ইনকাম করে থাকে।
এক্ষেত্রে, company গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট মালিকদের কে তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস এর সাথে জড়িত বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখতে বলে।
তারপর ওয়েবসাইট মালিক এবং ব্লক সাইট মালিকেরা তাদের ওয়েবসাইটে ওই কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রোডাক্ট গুলোর তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল লিখে থাকে।
এই সমস্ত আর্টিকেল লেখা বিপরীতে ওয়েবসাইট মালিকেরা কোম্পানির কাছ থেকে ভালো পরিমাণের টাকা আদায় করে নিতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি হল- direct sponsored articles বা sponsorship.
আরও পড়ুন
৫. Paid reviews করে আয়:
Direct sponsored articles এর মতোই paid reviews দ্বারা একটি ওয়েবসাইট দিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন products এবং services নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে রিভিউ লেখুন। এবং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রেখে তাদের প্রর্তেক paid reviews এর বিপরীতে টাকা আদায় করে নিন।
বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি paid reviews কাজ অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
৬. ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করন:
আপনি যদি WordPress ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন অথবা ব্লগ তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনার তৈরিকৃত ওয়েবসাইট গুলো বিক্রি করেও আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
কেননা, বর্তমানে প্রত্যেক কোম্পানিগুলো একটি portfolio website প্রয়োজন রয়েছে। তাই আপনি কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের জন্য portfolio website বা brand website তৈরি করে দিতে পারেন।
এছাড়াও flippa ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৭. E-book বিক্রি করে টাকা ইনকাম:
বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রচুর E-book এর প্রচলন রয়েছে। তাই, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে e-book বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
e-book বানানোর জন্য আপনি নিজেই কিছু আর্টিকেল লিখে সেগুলোকে e-book বানাতে পারেন। এরপর আপনার বানানো e-book আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
তবে যে কোনো সাধারণ ই-বুক মানুষ নাও কিনতে পারে। তাই নিজের বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ই-বুক তৈরি করুন। তাহলেই আপনার ই-বুকগুলো প্রচুর পরিমানে বিক্রি হবে।
৮. Online courses বিক্রি করে ইনকাম:
আপনি আপনার একটি Online Course Website তৈরি করুন। এরপর সেখানে video courses এবং e-book courses বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর courses তৈরি করে সেই course গুলো আপনার ওয়েবসাইটে upload করতে পারেন।
এরপর আপনার নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতার ভিত্তিতে তৈরি করা কোর্সগুলোকে আপনি premium charge এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন কোর্স (online courses) এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
একটি online course website তৈরি করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব । ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার।
এই ক্ষেত্রে, আপনি সম্পূর্ণ web designing এর video course তৈরি করে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলোর premium access দিতে পারেন।
ধরুন, আপনার সম্পূর্ণ web designing course এর মূল্য মাত্র ২০০ টাকা হয়, তাহলে ৪০০ জন সেই কোর্স গ্রহণ করলেও ২০০*৪০০ = ৮০,০০০ টাকা ইনকাম আপনার হচ্ছে।
এতে করে আপনি কাজ করলেন একবার কিন্তু টাকা আসবে নতুন students দের থেকে বার বার । তাই, একটি অনলাইন কোর্স ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে আয় করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
৯. e-Commerce website দ্বারা ইনকাম:
ডিজিটাল যুগে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের প্রচলন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারেন । আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে এতে অনলাইন ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।
আপনি “e-commerce business” শুরু করতে যেকোনো একটি বা একাধিক products নিয়ে একটি online shopping website চালু করতে পারেন।
এবং, যখন আপনার shopping website এর বিস্তার ঘটবে- তখন আপনি আপনার shopping website এর মাধ্যমে অনেক products বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১০. Affiliate website তৈরি করন:
আমি আপনাদের আগেও বলেছি যে, “affiliate marketing” হলো একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের সবচেয়ে লাভজনক এবং জনপ্রিয় উপায়।
তাই, আপনি চাইলে একটি specific affiliate website তৈরি করে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন ধরুন, আপনি “domain & hosting” এর বিষয়ে একটি website তৈরি করলেন। এখন দেখলেন যে আপনার ওয়েবসাইটে আসা traffic ও visitors গুলো নিয়মিত domain & hosting কেনাকাটা করছেন।
এবং এভাবেই, যেকোনো product & services এর সাথে জড়িত একটি website তৈরি তাদের products গুলোকে affiliate এর মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন।
কিছু affiliate website এর নাম যেমন,
- Amazon affiliate website,
- WordPress theme affiliate website,
- WordPress plugin affiliate website,
- Travel agency affiliate website,
- e-Commerce affiliate website,
১১. Graphic & image বিক্রির ওয়েবসাইট:
যদি আপনার photography বা graphic design নিয়ে অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে একটি graphic & image বিক্রির website তৈরি করতে পারেন।
আপনি নিজের camera ব্যবহার করে প্রচুর ছবি তুলতে পারবেন এবং সেগুলোকে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারবেন।
এরকম ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট গুলোকে “স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট“বলা হয়ে থাকে এবং, WordPress এর মাধ্যমে খুব সহজেই এরকম ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।
তাছাড়া, আপনি চাইলে একটি logo & graphic designing website তৈরি করতে পারেন এবং, কিছু টাকা নিয়ে company এবং business গুলোর জন্য logo এবং graphic design করে দিতে পারবেন।
১২. অনলাইনে Sell এন্ড services প্রদান:
আপনি চাইলে একটি online service website তৈরি করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বর্তমানে- services বলতে যেকোনো ধরণের সেবা হতে পারে। যেমন-
কাজের লোক সংগ্রহ করে দেওয়ার সেবা, electrician বা plumber সংগ্রহ করার সেবা, food ordering services, online booking services, second hand products selling service, car booking services ইত্যাদি।
আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে যে কোন services এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে কিন্তু সেবা গুলো সহজেই পাওয়া যায় না।
তাই আপনাকে বেছে নিয়ে সেই সেবাগুলো লাভ এবং চাহিদা অনুযায়ী online services website তৈরি করতে হবে।
বর্তমান সময়ে উবার, swiggy, ola, jugnoo, cardekho.com ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন সেবা প্রদান করে। এই online services platform গুলোর প্রচুর চাহিদা এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১৩. Website traffic বা ভিজিটর্স বিক্রি:
আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রচুর traffic ও visitors থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের এই traffic ও visitors গুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্যদের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এমন অনেক ওয়েবসাইটের মালিক রয়েছেন যারা তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকদের কে টাকা প্রদান করে থাকে। বিনিময়ে তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর পেয়ে থাকে।
আপনি চাইলে ৪-৫টি ওয়েবসাইট মালিকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে ব্যাকলিন প্রদানের মাধ্যমে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন।
১৪. Donations বাটন তৈরি করন:
donation বা please donate button ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে টাকা আয় করতে পারবেন।
আসলে, যখন আপনার ওয়েবসাইটের কোনো content বা service লোকেদের পছন্দ হবে, তখন ওয়েবসাইটের ভিসিটর্সরা চাইলে এই donate button ব্যবহার করে, নিজের ইচ্ছে হিসেবে আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে যেতে পারেন।
মূলত donation button এর মাধমেও নিজের website থেকে টাকা আয় করাও সম্ভব।
- ভিডিও দেখে টাকা আয় করার appsএবং সেরা ওয়েবসাইট সমূহ
- কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ? (সেরা কয়েকটি উপায়)
- ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার বিদেশি সাইট- সেরা সাইটসমূহ
প্রশ্ন এবং উত্তর:
আমি কি বিনামূল্যে ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারি?:
বিনামূল্যে ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল, যে কেনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
তারপর গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য সাইন আপ করুন, এরপর একটি গোপন কোড তৈরি করে দেওয়া হবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে।
একবার আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক পেয়ে গেলে, কার্যক্ষমতা এবং উপার্জন পরীক্ষা করতে Google আপনার ওয়েবসাইট ট্র্যাক করবে।
আপনাকে শুধু কন্টেন্ট তৈরির কৌশল তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে।
ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগে?:
একটি ওয়েবসাইট বানাতে সাধারণত প্রয়োজন হয় একটি ডোমেইন, ওয়েব হোস্টিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর। আপনি অনেক সহজেই GoDaddy বা এই ধরণের সাইট থেকে কমদামে একটি ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং কিনতে পারবেন।
ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?:
একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি টাকা ইনকাম করার উপায় হলো, নিজের ওয়েবসাইটটিকে “Google AdSense” এর বিজ্ঞা*পন দেখানো এবং বিজ্ঞা*পনের ক্লিক থেকে ইনকাম করা।
একটি ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে?:
একটি ওয়েবসাইট বানাতে সর্ব প্রথম ১০০০ টাকা খরচ করলেই চলবে। তবে, ইনকাম বাড়ার সাথে সাথে কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস গুলো আপনাকে নিতে হবে যেগুলির জন্য বছরে ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচা হবে।
তবে, চাইলে শুধু ৫০০-১০০০ টাকা মাসে মাসে ওয়েব হোস্টিং এর জন্যে খরচ করেও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। সবকিছু ডিপেন্ড করবে আপনার কাজ এবং ইনকামের উপর।
- ৪৬ তম বেফাক পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ – বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম
আজকের শেষ কথা:
বন্ধুরা, আমি আশা করি, অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ও প্রক্রিয়া গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করার আরো অনেক উপায় রয়েছে। তবে আজ আমি আপনাদের কেবল সেই উপায় গুলোর বিষয়ে বললাম যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে ও অনেক তাড়াতাড়ি ইনকাম করা যায়।
আজকের লেখা আর্টিকেলটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে, অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন ধন্যবাদ
Insightful piece
Outstanding feature