ভূমিকা:

অনলাইন থেকে ইনকাম

খুব সহজে ভালো একটা পরিমানের আই  থেকে উপার্জন করছে। দেশের  লাখ ও মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম  এর উপরে নির্ভরশীল।

চাইলে সহজেই ইন্টারনেটের ব্যাবহার করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি  যেটা চান? যদি আপনার  হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার

জন্যই।

এই লেখাতে অনলাইন ইনকাম এ নিয়ে আলোচনা করব। এবং সাথে  অনলাইনে আয়ের সেরা ১০টি কারন সামনে তুলে ধরবো। আপনি যদি  এই

আনুচ্ছেদটি   ভাল করে পরেন অনেক সহায়তা পাবেন।

 

অনলাইন ইনকাম:

 

 

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বাপারে  আজ থেকে ১০ বছর আগে যতোটা কঠিন ছিল,

এখন

ও তার থেকে অনেক সহজ। আয় করে ক ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়া

আমাদের এই  প্রিয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সমস্যার কারনে আজ থেকে ১০ বছর আগেও অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়টি কেউ ভাবতেও পারসিল না না।

 

অনলাইন এরা ১০টি উপায়:

 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কে না চায়! সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু আয় করার। অনলাইন ইনকাম  অনেক আছে।  ভালো বা

খারাপও আছে।

আমরা আজকের এই পোস্টে এমন ১০টি অনলাইন ইনকামের উপায় জানব যেগুলো থেকে আপনি যেমন অনেকটা নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন,

একই রকমভাবে স্বচ্ছলভাবে আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে বেসি মাধ্যম আছে অনলাইনে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে সেরা ১০ টি উপায় নিচে দেয়া হলোঃ

 

১। ব্লগিং করে আয়:

 

ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো  টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা যাই। একটি

ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।

আপনি যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই

আপনার যে বিষয়ে , জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং করলে তা  বেশিএখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। কাজে দেয়।

আরো দেখুনঃ

ব্লগিং কোর্স যেভাবে শুরু করবেন

অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায় দেখুন

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে বিস্তারিত জেনে নেই 2024

 

২। ফ্রিলান্সিং করে আয়:

 

অনলাইনে পদ্ধতিতে  বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করএ  এবং

সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে ।

পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। বিশ্বের অনেক  বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে।

সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ।

সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার

পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন তাই না।

৩। ইউটিউবিং করে আয়:

 

বাংলাদেশের অনেক  বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব

ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক  বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে । তারপরে সফল

হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।

 

৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম:

 

ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন । সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি

অনেকের কাছে অবাক লাগলেও ঘটনাটি  সত্যি। বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য পেমেন্ট করা

হবে।

তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো সাইড রয়েছে। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে

না। এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।

 

৫। ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়:

 

আপনি  জেনে থাকবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে এরকম ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি করে ও

অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে কেউ চাইলেই করতে পারেন।

কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়,  কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে দাম পেতে

পারেন ভালো।  যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।

 

৬। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে আয়:

 

ড্রপশিপিং অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা যাই। চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং

আসলে কি। এটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন।

মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে ৪০০টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে

এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং  বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট

মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।

এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা।

আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।

 

 

৮। অনলাইনে পড়িয়ে আয়:

 

অনলাইন থেকে ইনকাম

আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষই দেখতে পাবেন বাড়ি গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে মাসে অনেকে

পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে গিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় এবং অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।

অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের জায়গা জোগাড় করাও একটি কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটি হলো

অনলাইন টিচার  কনসেপ্ট।

 

৯। ছবি বিক্রি  করে আয়:

 

আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা কম। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে

আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।

চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে

৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

 

১০। অনলাইন সার্ভে  করে আয়:

 

অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন

সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগন কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই

বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।

 

শেষ কথাঃ

 

অনলাইন ইনকাম বর্তমানে  প্রচলিত একটি বিষয় যা ঘরে বসে ইনকাম এবং নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম একটি মাধ্যম। হাজার হাজার

বেকার যুবক এখন বসে না থেকে এই পথে নেমেছে। এই ছিলো মূলত আমাদের আজকের আলোচনা।

এই আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝেছেন। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে সেটি কমেন্ট বাক্সে

জানাতে ভুলবেন না আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকার এ থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করবেন।