মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন ১৪টি উপায়ে!

ভূমিকা:

 

মানসিক দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

নিজের মন ও শরীর ভালো রাখার জন্য খুব জরুরী এবং সাধারণ কিছু বিষয় আমাদের মেনে চলা উচিত।

লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

 

যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে কাজের প্রতি। আসলে আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি।

তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে।

 

সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার চারপাশের অবস্থাকে কখনই অতিক্রম করতে পারবেন না।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। এটা সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য সহায়ক।

 

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১৪টি উপায়

 

কাজ করুন সহজ উপায়ে। অনেক সময় আমরা কাজ কঠিনভাবে করি যা আমরা সহজভাবেও করতে পারি।

 

সহজ উপায়ে কাজ করার অভ্যাস আমাদের মানসিক জটিলতা থেকেও মুক্ত রাখে।

শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনের কথা না ভেবে, পারষ্পারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। আন্তরিক সম্ভাষণ আপনার সমস্যাকে মিটিয়ে দেবে এবং দুইপক্ষই ভালো অনুভব করবেন। সম্মানের ভয়, খ্যাতির বিরম্বনা,

 

লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

 

যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে কাজের প্রতি। আসলে আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি।

তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে।

 

সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার চারপাশের অবস্থাকে কখনই অতিক্রম করতে পারবেন না।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। এটা সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য সহায়ক।

 

আবার যারা মাত্রাতিরিক্ত আত্মসচেতন তারা সিদ্ধান্ত নিতে এবং কাজে পদক্ষেপ নিতে দুশ্চিন্তায় ভোগে। সেক্ষেত্রে আত্মসতর্কতা কাজ করার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তাহীন মানসিকতার পরিচয় দেয়।

 

দেখুন আপনার মনোবল এবং শক্তি আপনাকে কী উত্তর দিচ্ছে এবং সেটি সঠিক কিনা?

আমরা দুশ্চিন্তা করে অনেক সময় নষ্ট করি যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

 

আপনি যদি আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়কে কাজে পরিণত করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো থাকবেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তাকে কর্মক্ষমতায় রূপান্তরিত করুন।

উদ্দেশ্যহীনভাবে কাজ এবং চিন্তা করবেন না।

 

অগোছালোভাবে জীবনযাপন না করে নিজেকে গুছিয়ে চলার চেষ্টা করুন। এটি অত্যন্ত জরুরি যে আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে,

 

কর্মশক্তিকে যোগ্য কাজে লাগাতে হবে।। একটু বেশি সময় নিন এবং ধীরে ধীরে বুঝে নিন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না।

কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না। যখন আপনি মন খারাপ বোধ করবেন তখন ভুল শুদ্ধির চেষ্টা করুন।

 

এটা নিজেকে নিয়ন্ত্রণের একটা ভালো পদ্ধতি। লজ্জা ও সামগ্রিক অপরাধবোধ আপনার আত্মোপলব্ধিকে নষ্ট করবে।

 

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। সমস্যাকে জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে নিন। কষ্টের মুখোমুখি হোন।

 

যদি তাতে আপনার জীবনে উন্নতি না হয় তবে ব্যবহার অথবা পরিস্থিতির পরিবর্তন করুন।

এটি আপনাকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আমাদের প্রত্যেকের শখের বিষয় রয়েছে।

 

আমাদের সাথে যা ঘটে তার ওপর বেশিরভাগ সময় আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শখ এবং অনুভবের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

 

আমাদের নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রণের একটা নির্দিষ্ট ও আশানুরূপ মাত্রা রয়েছে। তাই শখের প্রতি বা পছন্দের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিন।

 

আত্মসতর্কতা, আত্মসম্মানবোধ, আত্মদায়িত্ববোধ এবং আত্মজ্ঞান অন্যকে ভালোবাসার মতো। যখন আপনি নিজের জন্য কাজ করবেন তখন আপনি অন্যের জন্য,

 

পৃথিবীর জন্য ও অবদান রাখতে পারেন। আপনার যদি কিছু না থাকে আপনি অন্যকে কিছুই দিতে পারবেন না।

মানুষ মাত্রই আমরা সবাই কমবেশি ভুল করে থাকি এবং সমালোচনার ভয়ে তা অস্বীকার করি।

 

যদি ভুলকে স্বীকার করে তা সংশোধন করার জন্য সময় ব্যয় করি তবে আমরা সফল হবো এবং আমাদের মধ্যে মানবিকতা গড়ে উঠবে।

 

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভাববেন না।  আমরা আমাদের জীবনে একটি বিরাট অংশ ব্যয় করি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে যা আমরা এক সময় ভুলে যাই।

 

তাই কিছুক্ষণ বসুন এবং চিন্তা করুন কোনটি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কোনটি নয়।

পরিশেষে নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভালো থাকার পরামর্শ দিন

 

নীরোগ দীর্ঘ জীবন পাওয়ার ৫টি কার্যকরী উপায় জানা আছে কি?

 

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষেরা আমাদের থেকে দীর্ঘজীবী হতেন। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন তখনকার দূষণমুক্ত আবহাওয়া,

 

ভেজালহীন আর এক ধরনের দৈনিক জীবনযাত্রা যা তাঁরা মেনে চলতেন। সেই বিষহীন পৃথিবী আমরা আর ফিরে পাবো না।

 

তবে দৈনন্দিন জীবনে সামান্য বদল এনে বাড়ানো যায় এই প্রজন্মের মানুষের গড় আয়ু।

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন ১৪টি উপায়ে!

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন ১৪টি উপায়ে!

 

 

নীরোগ দীর্ঘ জীবন পাওয়ার উপায় :

 

১) প্রাণ খুলে হাসুন

একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে যে  (Rowing machine) দশ মিনিট ব্যায়াম করলে  যে উপকার হয়, চব্বিশ ঘণ্টায় ৫০ বার হাসলেও সেই একই কাজ হয়।

 

অতএব হাসুন। মনে রাখবেন কোনো ঘটনার কারণে স্বাভাবিক হাসিতে যে উপকার, চেষ্টা করে হাসলেও সেই উপকার। হাসিতে শুধু হার্ট নয় শরীরেরও নানা উপকার হয়।

 

হাসির উপকারিতার কথা সবসময় মাথায় রাখুন। এমন গান শুনুন যা আপনার মন ভালো করে দেয়। আপনার মুখের ভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন হন।

 

যদি চেহারায়  থাকে, তাহলে  মুখে খুশির ছাপ ফুটিয়ে তুলুন। তবে হ্যাঁ, যতই হাসুন, যখনি হাসুন, এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাকে বোকা বোকা লাগে বা অন্যরা কিছু মনে করতে পারেন।

 

২) প্লেটটাকে ক্যানভাস ভাবুন

খালি থালাটিকে মনে মনে তিন ভাগে ভাগ করুন। এক ভাগ কার্বোহাইড্রেট প্রধান খাবার, এক ভাগে শাক- আর এক ভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

 

খাবার নির্বাচন করার সহজ পদ্ধতি হল খাবারের রঙ,চেহারার দিকে লক্ষ রাখা। তবে কৃত্রিম বা গন্ধ নয়। খেয়াল করে দেখবেন যদি আপনার প্লেটে নানা রঙ থাকে তাহলে সেগুলো আসে শাক-সবজি থেকে, বিট এর লাল, কুমড়ার হলুদ, বিন এর সবুজ ইত্যাদি।

 

আর একটা কথা, খাবারে ফাইবার রাখার চেষ্টা করবেন কারণ এটি কোষ্ঠ পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। আপনার  (Immunity System) এর উন্নতি ঘটাবে।

 

যখনি কোনো রেস্টুরেন্টে খাবেন, সালাদের কথা ভুলবেন না। মাছ মাংস খেলেও আপনার প্লেটটাকে ক্যানভাস ভেবে কিছু প্রাকৃতিক রং যোগ করুন সবজি বা ফলের মাধ্যমে।

৩)ঘুমের কোনও বিকল্প নেই

 

১. ঘুমানোর ৩-৪ ঘণ্টা আগেই চা,  সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

২. বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না।

৩. ঘুমানোর আগে খুব বেশি উত্তেজনা, পরিশ্রম ঠিক না।

৪. ঘুমের ঔষধ নিয়মিত খাওয়া ক্ষতিকর।

৫. খুব বেশি দরকার হলে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট (Calcium-Magnesium Supplement) খেতে পারেন।

৬. ঘুমের সময় ছাড়া বিছানা ব্যবহার করবেন না।

 

বেডরুমকে ডাইনিং রুম বা অফিসের কাজের জন্যও ব্যবহার করা উচিত না।

 

 

 

 

৪) বন্ধু বিটা ক্যারোটিন 

 

 

জানেন কি? রোজ একটা ছোট মিষ্টি আলু খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে। কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন (Beta-carotene)। বিটা ক্যারোটিন হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant)

 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার যারা কয়েক বছর ধরে খাচ্ছেন তাদের ফুসফুস, মুখ, গলা, ব্লাডার (Bladder), স্কিন, স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম। ত্বক, হাড়, শ্বাসনালী ভালো রাখার জন্য এর জুড়ি নেই।

 

বিটা ক্যারোটিন যথেষ্ট পরিমাণে আছে কমলা, হলুদ, গাঢ় সবুজ বর্ণের শাক সবজিতে। কুমড়ো, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, গাজর, পিচ, খুবানি, পাকা পেঁপে এসব হল বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

 

এবার থেকে যখনি সকাল, বিকেল বা রাতের খাবার খাবেন এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করবেন। মনে রাখবেন, এতে আছে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।

 

 

৫) সাহায্য নিন সুগন্ধির

দেখবেন কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন! সুগন্ধির সাথে আমাদের শরীর, মন, আবেগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণেই ইদানীং অ্যারোমাথেরাপির (Aromatherapy) গুরুত্ব বাড়ছে।

 

এমনকি কিছু কিছু সুগন্ধি আমাদের কাজে ভুল করার হার কমিয়ে দেয়। 

 

অ্যাসেনশিয়াল অয়েল (Essential Oil) সরাসরি ত্বকে লাগালে সেই অয়েল যেন আমণ্ড বা অন্যান্য ফ্লেভার যেমন লেমন, জিঞ্জার, মিন্ট, ম্যান্ডারিন (Mandarin) অয়েল ভিত্তিক হয়।

 

 

একবাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ফেলুন, তারপর ধীরে ধীরে সেটা উবে যেতে দিন। আজকাল অ্যারোমাথেরাপিও পাওয়া যায়।

 

ঘরে জালিয়ে রাখতে পারেন সেটি। নীরোগ দীর্ঘ জীবন পাওয়ার কার্যকরী উপায় এটি।

তবে সাবধান! কখনোই তা বেশি মাত্রায় ব্যবহার করবেন না।

 

এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোনটা কতক্ষণ ব্যবহার করলে ভালো বোধ করেন সেটা নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন।

 

নীরোগ দীর্ঘ জীবন পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না।

 

দরকার শুধু দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ছোটোখাটো কিছু পরিবর্তন, কিছু সংশোধন।

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন ১৪টি উপায়ে!

মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন ১৪টি উপায়ে!

 

গ্রিন টি | রূপচর্চা ও সুস্বাস্থ্যে পানীয়টির ১৫টি উপকারিতা জানেন কি?

 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত গ্রিন টি পান বার্ধক্যের ছাপকে ঘুচিয়ে ত্বক এর জৌলুস ফিরিয়ে আনে এবং ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়।

 

এছাড়াও এতে রয়েছে আরো অসংখ্য গুনাগুণ। এমন উপকারী গুণগুলোর জন্য এখন বিখ্যাত বিউটি ব্র্যান্ডগুলো তাদের পণ্যে উপাদান সংযোজন করছে।

 

চলুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চা ও সুস্বাস্থ্যে এর ১৫টি উপকারিতা।

 

 

 

 

গ্রিন টি’র ১৫টি উপকারিতা

 

 

১. এটি অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এটি এক দিনে ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে।

 

তার মানে রেগুলার গ্রিন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাউন্ড (Pound) পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।

২. এটি তৈরির জন্য ১ কাপ পানিতে ৫ চা চামচ গ্রিন টি, ১ চা চমচ পুদিনা পাতা  ১০ মিনিট ফুটান। তারপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন।

 

এই টোনারটি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করতে খুব উপকারী।

৩. এতে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়ায়।

 

৪. চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল (Dark Circle) কমাতে ব্যবহার করা গ্রিন টির দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রিজ এ রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখুন।

৫. ড্রাই গ্রিন টির পাতা মধুর সাথে মিক্স করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় যা লোমকুপের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।

৬. ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি ডিওডোরেন্ট (Deodorant) হিসেবে ভালো কাজ করে। গোসলের পর ঠান্ডা গ্রিন টি আন্ডারআর্ম (Underarm) এ লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে। ঠিক এমনিভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৭. অর্ধেক কলা, ১ চা চামচ গ্রিন টি, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ টক দই ভালো মতো মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক (Moisturizing Mask) হিসেবে কাজ করে।

৮. নিয়মিত এক কাপ গ্রিন টি পান হার্ট এর রোগের ঝুঁকি ৪৪% (44%) কমিয়ে দেয় এবং ব্লাড প্রেসার (Blood Pressure) নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৯. মশা মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচতে শুকনো চা পাতা ঘরের কোনায় রেখে পোড়ালে মশা মাছি কমবে।

১০. এটি নিয়মিত পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, ওরাল ব্যাকটেরিয়া (Oral Bacteria) ধ্বংস করে এবং ডেন্টাল ক্যাভিটিস (Dental Cavities)  প্রতিরোধ করে।

 

আরো দেখুন

 

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় আমের ১২টি উপকারী দিক!

 

 

আম হচ্ছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে উপাদেয় উপহার। এ সময় প্রচুর পরিমাণে আম পাওয়া যায়। আম খেতে যেমন ভালো তেমনি এর পুষ্টিগুণও অনেক।

 

এজন্যই একে ‘ফলের রাজা’ বলা হয়ে থাকে। আম যে শুধু খেতেই সুস্বাদু তাও নয় এটি রূপচর্চার-ও কাজে লাগে। তবে আর দেরী কেন? চলুন জেনে নেই স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় আমের উপকারিতা।

০১. ক্যান্সার প্রতিরোধ

 

 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলন, স্তন, লিউকোমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমে রয়ছে কেরোটিন,

 

আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড, মিথাইল গ্যালাট এবং আরো অনেক রকম এনজাইম; যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

 

০২. কোলোস্টেরল কমানো

পেকটিন ও ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।

 

এসব উপাদানে রক্তে খারাপ কোলোস্টেরল তথা লো ডেনসিটি লিপো-প্রোটিন (এলডিএল) কম করে।

০৩. ত্বক পরিষ্কারক

আমের খাদ্যগুণ ভেতর থেকে ত্বকের দ্যূতিময়তা ফিরিয়ে আনে এবং ময়লয়া পরিষ্কার করে ত্বকে আনে নতুন জেল্লা।

০৪. চোখের স্বাস্থ্য

 

নিশ্চয়ই জানেন ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখতে কতটা জ়রুরী, আর বুঝতেই পারছেন আম এক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করে।

০৫. অ্যালকালী পদার্থ সংরক্ষণ

আমের টারটারিক এসিড, মেলিক এসিড এবং বিবুল পরিমাণে সাইট্রিক এসিড দেহের অ্যালকালী জাতীয় পদার্থ সংরক্ষণে অংশ নেয়।

০৬. ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে

আম রক্তে ইন্সুলিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

 

সেজন্য আগের কালের নিয়ম অনুযায়ী কিছু পাতা পানিতে সেদ্ধ করে সারারাত ওভাবে রেখে দিয়ে সকালে ছেঁকে সে পানি পান করুন।

 

আমে রয়েছে তুলনামূলক কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (৪১-৬০), যা রক্তে সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে।

০৭. ভিটামিন ই

আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া ভিটামিন ই দেহের গোপন অঙ্গ সমূহের খেয়াল রাখে নিবিড়ভাবে।

০৮. হজমে সহায়তা

আম হচ্ছে অনেক এনজাইম পূর্ণ একটি ফল। এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। আমের আঁশের স্বাস্থ্যকর গুনাগুণ হজমে ও পরিপাকে সহায়তা করে থাকে।

০৯. হিট স্ট্রোক মোকাবেলায়

আয়ুর্বেদিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে রোদের প্রচন্ড তাপে দেহের জীবনীশক্তি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে মাংস পেশী নিস্তেজ হয়ে শরীরকে চলচল অযোগ্য করে তোলে।

 

তখন কাঁচা আমের রস, পানি ও চিনি বা গুড়ের মিশ্রণে তৈরী পানীয় আপনার জীবন বাঁচাতে এবং হিট স্ট্রোক মোকাবেলায় অদ্বিতীয়।

১০. ইমিউন সিস্টেম

আমে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আর সেই সাথে ২৫ টির-ও বেশি রকমের ক্যারোটিনয়েডস।

 

যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখে সুস্থ্য।

১১. পুষ্টিগুণ

প্রতি ২২৫ গ্রাম আমে রয়েছে নিম্নোক্ত পুষ্টি উপাদান; যা প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট।

– ১০৫ ক্যালরি,

– ৭৬% ভিটামিন সি,

– ২৫% ভিটামিন এ,

– ১১% ভিটামিন বি৬ প্লাস এবং অন্যান্য ভিটামিন বি,

– ৯% স্বাস্থ্যকর প্রো-বায়োটিক ফাইবার,

– ৯% কপার,

 

১২. রূপচর্চায়

 

 

 

-প্রতিবার খাওয়ার সময় এক টুকরো আম ত্বকে বু্লিয়ে নিন। এতে ত্বকের ডালনেস কমবে আর জেল্লা বাড়বে।

– পাকা আম ব্রণ সারাতেও সাহায্য করে।

– রোদে পোড়া ত্বকে পাকা আমের ক্বাথ ও গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করুন। উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।

– তাছাড়া ত্বকের দাগে নিয়মিত আমের রস ব্যবহারে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

আমরা সবাই কম বেশি আম খেতে ভালবাসি, তবে সবাই কি জানতাম আমের এত গুণের কথা? আমের সব গুণ লিখে শেষ-ও করা যাবে না। উপভোগ করুন গ্রীষ্মকাল

 

 

উপসংহার:

 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে,

মানসিক দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

নিজের মন ও শরীর ভালো রাখার জন্য খুব জরুরী এবং সাধারণ কিছু বিষয় আমাদের মেনে চলা উচিত।

লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

 

যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে কাজের প্রতি। আসলে আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি।

তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে।

 

6 Comments

Add a Comment
  1. Тамбурные двери – это двухстворчатые двери, у нас вы можете преобрести такие тавары как
    двери тамбурные
    которые устанавливаются перед входной дверью квартиры.
    Они защищают ваш дом от неожиданных гостей и повышают уровень безопасности вашей семьи. Такие двери можно открыть только изнутри квартиры,
    а снаружи они имеют лишь узкую щель для передачи почты или ключей. Также тамбурные двери помогают сохранить тепло в квартире,
    так как они создают дополнительный воздушный зазор между собой и входной дверью. Заказать двери тамбурные металлические ==> https://tekhnicheskie-dveri-spb.ru/

    fghjk878

  2. Admin – “:

    С mega sb не работает Вы забудите о бесконечных поисках – релакс и удовольствие уже ждут вас прямо здесь и сейчас! Мы разработали платформу, где вы с легкостью отыщете интересный контент и сможете насладиться заслуженным отдыхом. Присоединяйтесь к мега сайт тор!

    мега даркнет маркет ссылка на сайт:https://mega-active-links.com
    ссылка на мега даркнет:https://xn--mea-sb-j6a.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *