মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয় সেটা কি আপনার মতে? “তুমি মেয়ে তুমি এটা করতে পারবে না “। মেয়ে হয়ে জন্মানো অনেকেই ভাবে কোন কাজের না মেয়েরা জিবনে তেমন কিছু করতে পারেনা। কিন্তু শুধু বাংলাদেশেই এমন কিছু মেয়ে আছে যারা প্রমান করেছে মেয়েরাও সব করতে পারে। ১) ১) সোনিয়া বশির কবির : অনেক এইতো ভাবে মেয়েদের জন্ম শুধু সংসার সামলানোর জন্যই, কোন বড় প্রতিষ্ঠান চালানো মেয়েদের কাজ নয় এ তো শুধু ছেলেদের কাজ। এইসব মানুষের ধারনা কে সম্পূর্ণ ভুল প্রমান করে দিয়েছেন সোনিয়া বশির কবির যিনি মাইক্রোসফট এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ফর বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল এবং লাউস এর। সোনিয়া এসডিজি ২০১৭ পাইওনিয়ারস’ পুরস্কারের জন্য ও নির্বাচিত হয়েছেন। একজন বাংলাদেশি নারী হয়েও নিজেকে বেশ সাফল্যর চুড়ায় তুলে ধরেছেন সোনিয়া।
২) নাজমুন নাহার সোহাগি : নাজমুন নাহার সোহাগি প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি একাই বাংলাদেশি পাসপোর্ট এ ৮০ টি দেশ ও ভ্রমন করেছেন। প্রতিটী দেশ এই রেখে এসেছেন নিজের পদধ্বন্নি, হোক যুক্তরাষ্ট্র হোক কানাডা সব জায়গায় রেখে স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্বের সামনে নিজের দেশকে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন সোহাগি । বেগম রোকেয়ার সময় হতে এই সময় পর্যন্ত এখন ও অনেক জায়গায় মেয়েদের ঘর থকে বের হওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের সামনে এই নারী এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।
৩) মাবিয়া আক্তার সীমান্ত : মাবিয়া ২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান গেম এ গোল্ড পদক বিজয়ী হয় এবং কমনওয়েলথ গেম এ মোট ২ টা রুপা ১ স্বর্ণ জিতে নেন। ৬৩ কেজি ওজন থেকে শুরু করে মোট ১৭৬ কেজি ওজন এর ভার উত্তোলন করে স্বর্ণ পদক জিতে নেন মাবিয়া। একজন মুদি দোকানির মেয়ে মাবিয়া মাদারিপুর জেলায় ১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এত বড় খ্যাতি অর্জন করে আবারো প্রমান করে যে মেয়েরা চাইলেই সব পারে।
৪) নাইমা হক, তামান্না- লুতফি : ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক আর তামান্না বাংলাদেশ এর প্রথম মহিলা যুদ্ধবিমান এর পাইলট। বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশন এর বিমান বাহিনির প্রধান হিসাবে এই দুই নারি কর্মরত আছেন। যশোরে জন্ম নেওয়া ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না বিএএফ শাহীন কলেজে পড়ালেখা করেছেন। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন। আর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক এর জন্ম ঢাকায়, হলি ক্রস কলেজের সাবেক এই ছাত্রী ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর কমিশনপ্রাপ্ত হন। ছেলে পাইলট তো অনেক আছে মেয়ে পাইলট এর ও কমতি নেই কিন্তু মেয়ে হয়ে যুদ্ধ বিমানের পাইলট হতে কতটা সাহস এর প্রয়োজন হতে পারে
৫) নিশাত মজুমদার : নিশাত মজুমদার হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয় করা নারী। নিশাত মজুমদার ২০০৩ সালে প্রথম বাংলাদেশের কেওক্রাডং জয় করেন, পরে ২০০৯ সালে পৃথিবীর ৫ম উচ্চ শৃঙ্গ মাকালুতে পদার্পণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ মে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে এই নারী এভারেস্ট এর চূড়ায় পা রাখেন এবং এভারেস্ট জয় করে বাংলাদেশের হয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রতিস্থাপন করেন।