বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এ সম্পর্কে আপনাদেরকে বলি তাহলে আমি সর্বপ্রথম বলতেছি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কি এমন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা অনেক ধরনের কাজ করে থাকি এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করণীয় একটি দেশের উন্নতির জন্য এবং দেশের সুবিধার্থে এটি করা হয়েছে এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা যেমন আমরা কলকারখানা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ইত্যাদি এগুলো আমরা বিদ্যুৎ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি।
আপনি যদি এগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ এবং এর দ্বারা অনেক উন্নতির দিকে যদি যেতে চান, তাহলে আপনি এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অবশ্যই গড়ে তুলতে হবে।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উৎপাদন
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি নেটওয়ার্ক যা সঞ্চালন ও সরবরাহ উপকরণকে সংযুক্ত করে । বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় ৫০ হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে এবং ১১ কিলোভোল্ট বা ১৫ কিলোভোল্টে যা উচ্চ ভোল্টের সঞ্চালন নেটওয়ার্ক বা
গ্রিডে প্রেরণের জন্য ট্রান্সফরমার দিয়ে ১৩২ বা ২৩০ উন্নতি করা হয় । গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করার জন্য গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ গ্রিড সাব-স্টেশনে ট্রন্সফরমারের মাধ্যমে ৩৩ কেভি, ১১ কেভি এবং ০.৪ কেভিতে নামিয়ে আনা হয়। তো তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা কি পরিমাণ হয়েছে।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পাওয়ার
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ গ্রিডে প্রায় ২,৩১৪ সার্কিট কিলোমিটার ২৩০ কেভি লাইন, ৫,৫৩৩ সার্কিট কিলোমিটার ১৩২ কেভি লাইন এবং ১৬৭ সার্কিট কিলোমিটার ৬৬ কেভি সঞ্চালন লাইন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২৩০ কেভি এবং ৬৬ কেভি লাইনগুলি ১৩২ কেভি নেটওয়ার্কের সাথে যথাক্রমে ২৩০/১৩২ কেভি এবং ১৩২/৬৬ কেভি আন্তঃবাস ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে সংযুক্ত। এ ছাড়া ৮৫টি গ্রিড সাব-স্টেশন আছে যেগুলিতে উচ্চ ভোল্টের সঞ্চালন লাইন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে লক্ষাধিক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩১ কেভি, ১১ কেভি এবং ০.৪ কেভি বিতরণ লাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হয়।
আরও দেখুন
কম্পিউটারের ব্যবহার এবং কি কি কাজে ব্যবহার হয়
জামিন সম্পর্কে যা জানা দরকার 2024
পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়ন বোর্ড
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) গ্রাহকদের নিকট সরবরাহকৃত বিদ্যুতের প্রায় ৭৫% উৎপাদন করে। -বিদেশি কোম্পানিগুলির যৌথ মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীএবং ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ প্লান্টগুলি (Rental Power Plant-RPP) অবশিষ্ট ২৫% ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিউবোর কাছে গ্রিডের মাধ্যমে বিক্রয় করে।
বিউবো আবার বিভিন্ন বিতরণ সংস্থার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রয় করে। অবশ্য কয়েকটি ছোট ছোট IPP পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৩৩ কেভি বিতরণ নেটওয়ার্কে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গ্রিড সিস্টেম বা সঞ্চালন লাইনের নেটওয়ার্কটি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (PGCB) নামক একটি সরকরি কোম্পানির মালিকানা ও পরিচালনাধীন।
সারাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব কয়েকটি সরকারি সংস্থা বা কোম্পানির উপরে নিজ নিজ সুনির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক ন্যাস্ত আছে। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান হল বিউবো, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপডিকো (পশ্চিম অঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি)।
নদীর তীরে ভর্তি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভৌগোলিকভাবে পদ্মা ও যমুনা নদী দ্বারা দুটি সুস্পষ্ট অঞ্চলে বিভক্ত। পূর্বাঞ্চলে জলবিদ্যুৎ ও পর্যাপ্ত গ্যাসফিল্ড থাকায় বিদ্যুতের সিংহভাগ এ অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। পক্ষান্তরে পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকটি জায়গায় কয়লার খনির সন্ধান পাওয়া গেলেও বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
আহরিত কয়লা ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি বিদুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলে কয়লার পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ফার্নেস অয়েল দিয়ে এবং পূর্বাঞ্চল থেকে যমুনা সেতুর নিচ দিয়ে একটি পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস নিয়েও কিছু সীমিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমাঞ্চল একটি বিদ্যুৎ ঘাটতি এলাকা যাকে পূর্বাঞ্চল থেকে ২৩০ কেভির দুটি পূর্ব-পশ্চিম আন্তঃসংযোগ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে হয়। সিস্টেমে কোন গোলযোগ হলে ব্ল্যাকআউট পরিহার বা সীমিত করার লক্ষ্যে দুটি অঞ্চলের সিস্টেমকে তাৎক্ষণিকভাবে আলাদা করে পরিচালনা করার সুযোগ নেই বললেই চলে।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সুযোগ সুবিধা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বেসরকারি এবং বিদেশি উদ্যোগ ও বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির সময়োচিত ওভারহলিং এবং নতুন নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে অর্থ সংকুলান ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহের সমস্যা রয়েই গেছে। প্রতি বৎসরই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ১০% হারে বেড়ে চলছে।
তাছাড়া বর্তমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির পুরাতন জরাজীর্ণ দশা, উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া ও প্রায়ই সমস্যায় পড়া হয়েছে এবং কম চাপে গ্যাস সরবরাহের দরুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হয়। ২০০৯ সালে গ্রীষ্মকালীন একটি দিনে সর্বোচ্চ চাহিদাকালীন সময়ে সচরাচর ৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে পূর্বাঞ্চলে ৩৩০০ মেগাওয়াট এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৬০০ মেগাওয়াট মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো।
সিস্টেম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটিকে সিস্টেম স্থিতিশীল ও কর্মক্ষম রাখার স্বার্থে ১০০০ মেগাওয়াট এর মত ব্যাপক লোডশেডিং এর আশ্রয় নিতে হয়। বিদ্যুতের সুযোগ।
বিভিন্ন দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
কর্তৃক প্রতিবেশী দেশসমূহ যেমন নেপাল, ভুটান, মায়ানমার থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা এবং গ্রিড বহির্ভূত দুর্গম গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি আগামী এক দশকের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে আরো কয়েকটি কয়লাভিত্তিক এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা জন্য আশাব্যাঞ্জক হতে পারে।
এভাবে করে যদি আমরা বিদ্যুতের নিয়ম গুলো জানতে পারি তাহলে আমাদের অনেক উপকার হিসেবে কাজ করে যাবে আমরা এই সম্পর্কে জানতে পারবো এবং এ সকল বিষয়ের প্রতি আমাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন আছে।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পর্কে
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রাহকেরা পেয়ে থাকেন, তাই আমাদের কর্তব্য হবে এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, সব জায়গা যেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হবে সে ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে ,
এভাবে করে যদি সারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশ আর ও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী আশা করি আপনারা এ সম্পর্কে কিছু ধারণা এই লেখাটির মাধ্যমে আপনারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন, যদি আমার এই লেখা আপনারা সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চাহিদা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আমাদের অনেক উপকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যদি আমাদের বিদ্যুৎ আমাদের দেশে না পৌঁছাতে অথবা এটা যদি বন্ধ করে দেয়া হতো তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতাম আমাদের দেশ উন্নতি হতো না,
আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে যেতাম আমাদের অন্ধকারে জীবন যাপন করতে হতো এবং আমরা কলকারখানা চালাতে পারতাম না এক কথা সকল সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত থাকতাম।
সুরক্ষা যন্ত্র বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বৈদ্যুতিক ক্ষতি ও আঘাত এড়ানোর জন্য নানা সুরক্ষা যন্ত্র থাকে। সুরক্ষা যন্ত্র হলো ফিউজ। যখন ফিউজ দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় ফিউজের ভেতরের পদার্থ গলে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
কোন ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ফিউজ হলো একটি আদর্শ পন্থা, কোন ব্যবস্থার দুর্বল অংশে এটি যুক্ত করা যেতে পারে।তাদের কাজ শেষ হলে তাদেরকে পরিবর্তন করতে হয়, একই ফিউজ পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। অসুবিধার কারণ হতে পারে যদি ফিউজটি দূরে কোন জায়গায় থাকে বা অতিরিক্ত কোন ফিউজ হাতের নাগালে না থাকে। আর দ্বিতীয়ত, বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় ফিউজ সুরক্ষা উপযুক্ত নয়।
কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উপাদানের পাশাপাশি, নকশা ও কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাগুলো বিভিন্ন রকম হয়। এই অংশে কিছু সাধারণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ধরন ও তাদের কার্যক্রমকে বর্ণনা করা হয়েছে।
আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আবাসিক এলাকায় নিম্ন ভোল্টেজের পরিবহন লাইন বা তার থেকে বিদ্যুৎ দেয়া হয়। এগুলো ১১০ এবং ২৬০ ভোল্ট (ফেজ থেকে ভূমি) ভোল্টেজের মাঝে কাজ করে, জাতীয় এককের উপর ভিত্তি করে।
বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা আবাসিক এলাকার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থেকে আকারে বড় হয়। যদি আমরা এ ব্যাপারে লক্ষ্য করে থাকি তাহলে আমাদের আবাসিক এলাকায় এর চাহিদা অনেক বেড়ে চলেছে।
শেষ কথাঃ
আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এ সম্পর্কে আমরা বিভিন্নভাবে এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আশা করি আপনারা এই সম্পর্কে এই লেখাটির মাধ্যমে আপনার যদি আমার এই লেখা পড়ে থাকেন তাহলে আপনার এ সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পেয়ে যাবেন।