ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল


ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং করে কি আসলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়?
ফেসবুকে  স্ক্রল করতে যেয়ে আমরা প্রায়ই এমন সব বিজ্ঞাপন দেখে থাকি- “7 দিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে হয়ে যান লাখপতি!” এসব বিজ্ঞাপন দেখে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এগুলো কি আদৌ সম্ভব?

উত্তর হলো, হ্যাঁ এবং না। আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কি   ও এর নাড়ি-নক্ষত্র জানতে হবেl

আর সেসব নিয়েই আজকের এই ব্লগ! এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ফিল্যান্সিং মানে কি, ফ্রিল্যান্সার কি,

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়, ও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত। নিম্নে আলোচনা করা হলো:

আর আপনারা যারা ঘরে বসেই ধাপে ধাপে জানতে চান ফিল্যান্সিং মানে কি ও ফ্রিল্যান্সিং করা শিখতে চান, তাদের জন্য 10মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে ”ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং” কোর্স।

ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল

এই কোর্সটির মাধ্যমে আপনি প্রাথমিক ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে এডভান্স ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা এবং শেষ পর্যন্ত একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার ধাপগুলোর সম্পূর্ণ নির্দেশিকা পাবেন।

এই ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটি আপনাকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে, ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বিকাশ করতে এবং ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্স চাকরি পেতে টিপস ও কৌশল শিখতে সহায়তা করবে। কোনোরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াইl

শুরু করার জন্য নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে এখনই কোর্সটি এনরোল করুন!

চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি)। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

ফ্রিল্যান্সিং কি / ফিল্যান্সিং মানে কি?

ফ্রিল্যান্সিং  অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। যেমন ইচ্ছাযারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং হলো কোন প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে মানুষ শত বছর ধরে। যেমন একজন গরিব  ফ্রিল্যান্সার, কারণ সে অন্যের রিক্সা চালায়, ইচ্ছা হলে প্যাসেঞ্জার নেয়, নাহলে নেয় না।

তার ফ্রিডম আছে। ইদানিং ফটোগ্রাফাররাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ তারা কোথাও ফটোগ্রাফার হিসাবে চাকরি না করে বরং অনুষ্ঠান বেসিসে শুট করে আর পারিশ্রমিক নেয়।

ফ্রিল্যান্সিং সহজ কাজ নয়। তেমনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের আয় ও কম নয়।

এই  সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সফল হওয়ার গল্প শুনলে আপনি তাকে ‘ দিবেন। কারণ সফলতার পেছনের গল্প আনন্দের হয়না, অনেক স্ট্রাগল থাকে।

রাতের পর রাত কোন কাজ শেখা, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখা, বই পড়া, কাজগুলো প্র্যাক্টিস করা, ধৈর্য ধরে টাকার আশা  না করে কাজে দক্ষ হওয়ার জন্য মাসের পর মাস সময় দেয়া, এসব থাকে l

একটা উদাহরণ দেয়া যাক।

আপনি ধরুন বিবিএ পড়ছেন। ফিন্যান্স নিয়ে। পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে15 বছর। 15 বছর পড়াশোনা করা আপনি একটা জবে ফ্রেশার হিসেবে এপ্লাই করেন, যার সেলারি 10 হাজারের মত। অনেকবার রিজেক্ট হতে হয়,

কারণ আরও শত-শত এপ্লাই করছে। শেষমেশ একটা জব পান।

Table of Contents

কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

আপনি যেই কাজে দক্ষ শুধু সে কাজগুলোই ফ্রিল্যান্স হিসেবে করবেন। কাজের জন্য নিয়মিত বিড করবেন। আপনি যা জানেন তা দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন:

ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কপি রাইটিং, মার্কেটিং, টাইপিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, ভার্চুলাল এসিস্ট্যান্ট এর মতো কাজগুলোর জন্যে প্রচুর বিড আসে৷

তাই এমন কাজ পেতে হলে ফ্রিল্যান্সারকে বেশ বড় রকমের একটা প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়।

কঠিন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং- এমন সব কাজ। এমন কাজে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, প্রতিযোগিতাও কিছুটা কম। কিন্তু এসব কাজ ভালোভাবে করতে হবে।

কাজের অভিজ্ঞতার উপর  কিছু নির্ভর করে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি হলে আয়ও বেশি হয়। কোনো কাজ না জানলে শিখে নিন। আজ না হোক, কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেনl

ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল
ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কিছু ধাপ:

  •  জানুন এই খাতে কোন কোন ফিল্ড আছে।
  •  ভেবে দেখুন আপনার এখন যে ব্যাকগ্রাউন্ড, স্কিল এবং ইন্টারেস্ট; সেটার সাথে কোন ফিল্ড মিলে যায়।
  • বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে  ফিল্ডগুলোর এখন পোস্ট করা জবগুলো ঘেঁটে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন এ ধরণের কাজে কী কী স্কিল লাগে।
  •  এবার সেই স্কিলগুলো শেখার কথা ভাবুন। অনলাইনেই শেখা যায় ধৈর্য থাকলে। এদেশে প্রথম সারির ফ্রিল্যান্সাররা নিজে নিজেই শিখে সফল।
  • কারও কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন এই সময়ে এসে, স্কিল্ড হওয়ার পর পরামর্শ নিন কীভাবে ফিল্ডে নামা যায়। প্রথমেই ‘ভাই, ইনকাম করার সহজ পথ বলেন’ বলে কাউকে ইরিটেট করবেন না।
  • ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় চিন্তা না করে স্কিল ডেভেলপ করার দিকে মনোযোগী
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?

মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো  বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বিশ্বের প্রান্তের বায়াররা তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করানোর জন্য ঐ কাজটিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকেন। মার্কেটপ্লেসে ব্যাপারটা ঘটে সুসংগঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল
ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল

২. আপনার স্কিল অনুযায়ী টাইটেল-ট্যাগ-ডেসক্রিপশন লিখবেন। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট, সে বিষয়টি নিয়ে দুই-একটা কাজ সেখানে রাখতে হবে।

যেমন, আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনে হন, তাহলে আপনার আঁকা কোনো ছবি প্রোফাইলে যোগ করে দিতে পারেন।

আপনি এই পর্যন্ত যত ফ্রিল্যান্স কাজ করেছেন তার স্ক্রিনশট নিয়ে উক্ত কাজের বিবরণ এবং লিংক আপনার প্রোফাইলে যোগ করতে পারেন।

৩. Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল মেজারমেন্ট নামে একটা পরীক্ষা দেয়া যায়। এগুলোতে অংশগ্রহণ করলে সেটি প্রোফাইলের জন্যে মন্দ হবে না l

৪. আপনি কী রকম ঘন্টা প্রতি রেটে কাজ করতে আগ্রহী তার একটি সাধারণ ধারণা ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে দেয়া ঘন্টাপ্রতি রেট থেকে পায়।

৫. একাউন্ট খোলার সময় কোন ফেক তথ্য দিবেন না। আপনার একাউন্টের নাম, এনআইডি এবং ব্যাংক একাউন্ট: সব জায়গায় নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি একই হতে হবে।

আরো দেখুন:অনলাইন থেকে ইনকাম

লাভের ব্যবসা: এ সম্পর্কে দেখুন

ইনকাম সাইট খুঁজে নিন

ফ্রিল্যান্সার হতে যা যা প্রয়োজন:

ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে কোন কোন দক্ষতা কাজে লাগবে, সেই দক্ষতা সম্পর্কে জানা এবং দক্ষতাগুলো অর্জন করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান  যদি না জানেন যে ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে কোন দক্ষতা কাজে লাগবে

, তাহলে আপনার কাজ শুরু করাটা বেশ কঠিন ।  আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই আপনাকে কাজ দেওয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সার হতে যা যা প্রয়োজ

কম্পিউটার চালানোর বেসিক স্কিল 
  • যেকোনো সফটওয়্যার ইনস্টল এবং আনইনস্টল করতে পারা
  • কম্পিউটারে লেখালেখির কাজ করতে পারা
  • MS Word, MS Excel, MS PowerPoint ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় টুলসগুলোর ব্যবহার করতে পারা।
  • ফাইল ট্রান্সফার করতে পারা।
  • কম্পিউটারের বেসিক ট্রাবলশুটিং সম্পর্কে জানা, ইত্যাদি।
ইন্টারনেটইন্টারনেট কানেকশনের সাথে পরিচিত থাকা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারা।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আপনাকে বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলা এবং কাজ বুঝিয়ে দেওয়া লাগবে, অনেক বাহিরের ব্লগ পড়তে হবে, অনেক মার্কেটপ্লেসে জয়েন থাকতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
দক্ষতা অর্জনফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনি কোন বিষয়ে (গ্রাফিক ডিজাইন, মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি) দক্ষ, তা ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্স কাজ করা  কঠিন।
আত্মবিশ্বাসআপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোনো কাজ নেওয়ার সময় অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে আপনি কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন কি না। এ জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা ভালোভাবে  হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে আপনি তার কাজের জন্য উপযুক্ত
প্রবলেম সলভিং স্কিলকাজ করার সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধান জানতে অনলাইনে দ্রুত এবং সঠিকভাবে তথ্য খোঁজার কৌশল জানতে হবে। কারণ, ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যেই বেশকিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সমাধান করা সম্ভব।
ফ্লেক্সিবিলিটিক্লায়েন্টের সমস্যা সমাধানের মনমানসিকতা থাকতে হবে। কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে কাজ জমা দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, ক্লায়েন্টের চাহিদামতো একাধিকবার জমা দেওয়া কাজে পরিবর্তন আনার মানসিকতাও থাকতে হবে। বিরক্তবোধ করা যাবে নাl

ফ্রিল্যান্সিং আয়: ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়?

এই পেশাতে উপার্জনের কোন লিমিট নেই এবং মাসিক উপার্জন সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি যদি ভালোভাবে কাজ করলে মাসিক 80000 ডলারেরও বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

অনেকেই মনে করেন, দুই থেকে চার মাস ফ্রিল্যান্সিং করলেই অনেক টাকা আয় করা যায়। এ ধারণা একদম ভুল। ভালোভাবে যেকোনো কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় প্রথমে আয়ের পরিমাণ খুব কম থাকে।

ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পেতেও অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়। আর তাই হাতে যথেষ্ট সময় এবং ধৈর্য থাকলেই কেবল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের চিন্তা করতে হবে। টাকার চিন্তা করার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি কি কাজ পারেন l আপনি কাজ করতে আগ্রহী না ।

যদি পারেন তবে কেমন পারেন এবং আপনি কতো সময় দিতে পারবেন।  বেশি আয় হয় ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিএফএক্স এইসব থেকে।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রযুক্তিনির্ভর কাজের সংখ্যা বেশি থাকায় নিজেকে প্রযুক্তিতে সবসময় হালনাগাদ রাখতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত আয়ের মানসিকতা বাদ দিয়ে সময় নিয়ে ভালোভাবে কাজ শেষ করতে হবে।

কীভাবে পারিশ্রমিক পাবেন?

অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার পর সঠিক জ্ঞান না থাকলে নানা কারণে প্রতারিত হয়ে অর্থ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। ইন্টারনেট কিন্তু খুব নিরাপদ কোন জায়গা নয়। তাই সঠিক পদ্ধতি না জানলে খুব সহজেই আপনি বোকা বনে যেতে পারেন।

মার্কেটপ্লেসগুলোর পেমেন্ট অপশনে গেলে জানা যায়, সেই সাইটগুলো কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে।

পেপ্যাল বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় এবং অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত একটি মাধ্যম।

বাংলাদেশে পেপাল এর সার্ভিস না থাকার কারণে এ দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন থেকে আয়ের অর্থ উত্তোলন করা অনেক  কষ্টকর ছিল।

পেওনিয়ার সে সমস্যা দূর করে দিয়েছে ।

বর্তমানে প্রায় সব মার্কেটপ্লেসেই পেপালের বিকল্প হিসেবে পেওনিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে।

এটি বিশ্বব্যাপী ফ্রি মাস্টারকার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। পেওনিয়ারের প্রিপেইড, ডেবিট, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন lপেমেন্ট করতেও পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং -এর সুবিধা:

যেমন প্রচুর সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা:

কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা মানে, আপনি চাইলে অর্ডার নিতেও পারেন, আর আপনার যদি সমস্যা থাকে তাহলে অর্ডার নাও নিতে পারেন! কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়াই আপনি কাজ থেকে ছুটি নিতে পারেন। তবে, আপনি যদি কোন কাজ নিয়ে থাকেন, তাহলে নির্দিষ্ট ডেডলাইনের মধ্যে সেই কাজ জমা দেওয়া আপনার জন্য আবশ্যক!

 সময়ের স্বাধীনতা:

এর কোনো বাধাধরা সময় নেই, যেকোন সময় কাজ আসতে পারেন, আবার নাও আসতে পারেন। ফিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি একটি অর্ডার নিলে সেই অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট ডেডলাইন থাকে। আপনাকে এই সময়ের মধ্যে বায়ারের কাজ শেষ করতে হবে।

কিন্তু, আপনি কাজটি সকালে করবেন না বিকালে, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার! এটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার  গড়ার অন্যতম সুবিধা।

ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা:

আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, কাজ ঠিক মতো করে জমা দিতে পারলেই বায়ার খুশি!

 নিজের পছন্দের কাজ করার স্বাধীনতা:

ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি চাইলে কাজ নিবেন, আর না চাইলে কাজ নিবেন না, সেটা সম্পুর্ণ আপনার ব্যাপার! কেউ আপনাকে সেই জন্য কিচ্ছু বলবে না, বা তাদের সেই অধিকার নেই! 

নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারনের স্বাধীনতা:

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি কাজের জন্য কেমন পারিশ্রমিক নিবেন তা নিজেই ঠিক করে নিতে পারবেন।

একই সময়ে কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করার

স্বাধীনতা:

একজন ফ্রিল্যান্সার চাইলে একই সাথে বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। আসলে, ফ্রিল্যান্সিং এর এই কাজ গুলো সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত হয় না! তাই, একজন  একাধিক কোম্পানিতে সার্ভিস দিতে পারবেন। 

9 thoughts on “ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন হল”

  1. Its like you read my mind! You appear to know a lot about this,
    like you wrote the book in it or something.

    I think that you could do with some pics to drive the message home a bit,
    but instead of that, this is magnificent blog. A great read.
    I will certainly be back.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top