১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাহামা সমুদ্রে পানির মধ্য টেরি জো একটি মেয়ের দেখা মিলে। মেয়েটি সমুদ্রে হারিয়ে প্রানে সৌভাগ্যক্রমে বেচে গিয়েছিলো। প্রায় ৫০ বছর সে এই বিষয়ে তার পরিবার এর সাথে কি হয়েছে কাউকে বিস্তারিত কিছু বলে নি এই বিষয় নিয়ে কোনদিন মুখ ও খুলে নি।২০১০ এ সে প্রথম তার এই হারিয়ে যাওয়া নিয়ে সবার সামনে মুখ খুলে। কি হয়েছিলো তার সাথে? কি ছিলো তার করুন কাহিনি!
১৯৬১ সালে তার বাবা তার পরিবার এর সাথে সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার প্লেন করেছিলো। তারা সবাই সমুদ্রে ভ্রমন এর উদ্দেশ্য রওনা দিলো সাথে ছিলো তার বাবা অরথর মা জেন ভাই রেন আর বোন ব্রিয়ান। তারা সমুদ্রে ঘোরার জন্য একটি পালতোলা নৌকা ভাড়া করলো। সাথে নৌকা চালানোর জন্য তার বাবার বন্ধু জুলিয়ান হারভে যে কিনা একজন জাহাজ এর ক্যপ্টেইন ছিলো তাকে নিলো। জুলিয়ান এর বৌ ও নিজের ছুটির সময় কাটানোর জন্য তাদের সাথে যোগ দিলো। সব কিছু ভালো ভাবেই চলছিলো হটাৎ ৫ম রাতে টেরির ঘুম ভাংলো কান্না আর চিৎকারের শব্দে। যখন টেরি তার বাবা মার ঘরে গেলো দেখলো সবাই মাটিতে আর আসে পাশে অনেক রক্ত ছড়ানো। তার কিছুক্ষন পর টেরি আবিস্কার করলো জুলিয়ান তার বৌ কে সহ তার পুরো পরিবার কে হত্যা করলো। জুলিয়ান আসলে অনেক বেশি অভাব এ ছিলো তাই তার বউ এর নামে করা ইন্সুইরেন্স এর টাকা আদায় করতে বৌ কে হত্যা করে জুলিয়ান। এই ঘটনা টেরি এর বাবা দেখে ফেলায় তাকে ও একে একে পরিবার কে এভাবে হত্যা করে জুলিয়ান। কিন্তু টেরি কে হত্যা করলো না তাকে সমুদ্রে ফেলে দিলো। প্রায় ৮০ ঘন্টা পানিতে থাকার পর টেরি কে উদ্ধার করা হয়। জুলিয়ান আগে তিরে উঠে সবাইকে বলেছিলো তাদের নৌকা ডুবে সবাই মারা যায় সে একা বেচে আছে। টেরিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তার অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো। টেরি বেচে ফিরে আসার পর জুলিয়ান ও আত্মহত্যা করে। টেরির এই কাহিনির উপর ভিত্তি করে বই লেখা হয়। রহস্যময় এই বালিকাকে কেন জুলিয়ান মারলো না? আর কিভাবে সে এই সমুদ্রে ৮০ ঘন্টা জীবিত ছিলো। টেরি বলে “আমি খুব সাহসি মেয়ে ছিলাম, সমুদ্র ভালোবাসতাম ইশ্বর কে বিশ্বাস করতাম তার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম এবং আমি আজ বেচে আছি”। তার এই ভয়ানক কাহিনি টেরি ২০১০ সালে মডিয়ার সামনে প্রকাশ করে।